পশ্চিমবঙ্গের টেট পরীক্ষার দুর্নীতি এবং অবৈধ নিয়োগ সমূলে ধ্বংস করার মূল পথিকৃৎ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। কিভাবে পশ্চিমবঙ্গের দিনের পর দিন অবৈধভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি।
কিছুদিন আগে তিনি কলকাতার বইমেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন স্টলে করে বই কিনছিলেন।
তাকে দেখে সেখানে ভিড় জমা হতে থাকে। তাকে দেখে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে আপনি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই কিনবেন?
তিনি উত্তরে বলেন হ্যাঁ তিনিও কিনতে ইচ্ছুক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, " তার বই অবশ্যই কিনব, কেননা তিনি একজন লেখিকা।"
এই বলে তিনি চলে যান। পথিমধ্যেই তাকে দেখে অনেকে বলেন আমি ২০১৭র টেট পরীক্ষার্থী, আমি ২০১৪ টেট পরীক্ষার্থী ইত্যাদি।
তার সঙ্গে আরো অনেকে বলেন স্যার আমাদের চাকরিটা দেখবেন যেন তাড়াতাড়ি হয়।
তাকে থেকে আরো অনেকে বলেন সে আর ভালো থাকবেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন আপনারা ভালো থাকবেন।
কিভাবে তিনি নির্দেশ দেন দুর্নীতির তদন্ত করতে?
তিনি সমস্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এবং বলেন যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেপ্তার করতে। তার হাত ধরেই তদন্ত শুরু হয়। গ্রেফতার হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুর্নীতি মামলার অন্যতম মূল মাস্টারমাইন্ড।
তিনি এবং তার সহকারী অর্পিতার বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে সোনা এবং আরো অনেক কিছু। ৫০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে অর্পিতার বাড়ি থেকে।
যা রীতিমতো চমকে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক পদে নিয়োগ নিতে হলে দিতে হতো কয়েক লক্ষ টাকার ঘুষ। এর বিনিময়ে দেয়া হতো তাদের চাকরি।
